fbpx
Skip to content Skip to footer

নতুন ব্যবসার শুরুতে যে ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন

উদ্যোক্তা হতে চাওয়া বা নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাওয়া জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্তগুলির একটি। আপনি নিজেই নিজের বস হবেন তখন, কাজের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে। তবে এর পাশাপাশি ব্যবসা চালু করার জন্য আপনাকে যে সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে, তা হালকাভাবে নেয়া উচিত হবে না।

আপনি যদি এসব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে কিছু বিষয় বিবেচনা করে দেখুন।

১. একটি ভালো টিম গঠনে ব্যর্থতা

আপনার চারপাশে সঠিক মানুষজন আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এটিকে ব্যবসার এক নম্বর পদক্ষেপ হিসেবে দেখুন। আপনি হয়ত শুরুতে অল্প কিছু লোক নিয়োগ দিতে চাচ্ছেন। তা যদি হয়, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে তারা প্রত্যেকেই আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক ব্যক্তি।

আপনার টিম এমন মানুষদের নিয়ে তৈরি করা প্রয়োজন যারা আপনার কোম্পানির লক্ষ্য ও আপনার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝবেন। প্রত্যেককে যে ভূমিকা এবং দায়িত্ব দেওয়া হবে তা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

ভালো একটি টিম গঠন করতে আপনার সময় ও ধৈর্য্য লাগবে। নতুন ব্যবসা শুরু করার সময় এ বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়া করা যাবে না।

২. মার্কেটিংয়ে যথেষ্ট বিনিয়োগ না করা

যে পদ্ধতিতে আপনি আপনার কোম্পানির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং করেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ করে নতুন ব্যবসার সময় মার্কেটিং-এ বিনিয়োগ দরকারি একটি বিষয়। কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেয়ার পরিকল্পনা করার মতো আরো অনেক বিষয় মার্কেটিংয়ের সাথে জড়িত। যদি মনে হয় একা সামলাতে পারবেন না, তাহলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিন।

৩. গ্রাহক সম্পর্কে না জানা

অনেক নতুন উদ্যোক্তাই ব্যবসা শুরুর সময় একটি ভুল প্রায়ই করেন। সম্ভাব্য গ্রাহক কারা হবে এ বিষয়ে জানতে তারা যথেষ্ট সময় দেন না।

যারা সম্ভাব্য গ্রাহকদের ওপর গবেষণা করার সময় ও শক্তি বিনিয়োগ করবেন, তারাই আরো বেশি ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার ক্লায়েন্টদের ভালোভাবে জানা ও বুঝতে পারার কারণে তাদের সাথে আপনার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ব্যবসায় উন্নতির জন্য এটা দরকার।

৪. আর্থিক ঝুঁকিগুলিকে কম গুরুত্ব দেয়া

প্রতিটি ব্যবসায়িক উদ্যোগেই আর্থিক ঝুঁকি থাকে। হয়তো আপনি অনেক দিনের সঞ্চয় দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। আশঙ্কা আছে ব্যবসার শুরু থেকেই আপনাকে লসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

এজন্য যে মার্কেটে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন তা নিয়ে যতটা সম্ভব গবেষণা করা যায় করুন। যাতে করে বাজারের হালচাল সম্বন্ধে আপনার পরিপূর্ণ ধারণা তৈরি হয়। আপনি যে একটি গুরুতর আর্থিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছেন না তা নিশ্চিত করার জন্য, নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন।

লস নিয়ে নিয়ে কেউই ভাবতে পছন্দ করেন না। বিশেষ করে ব্যবসা যখন মাত্র শুরু হয়েছে। যদি ছোট ব্যবসার ব্যর্থতার হার বিবেচনা করেন, তাহলে দেখবেন একটি ‘প্ল্যান বি’ থাকা প্রায় বাধ্যতামূলক বিষয়। যদি লস হয়ও, ওই ‘প্ল্যান বি’ বা বিকল্প পরিকল্পনা আপনাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করবে।

৫. ব্যবসার প্রশাসনিক দিক উপেক্ষা করা

আপনি হয়তো একটা পণ্য ধীরে ধীরে তৈরি করছেন, সময় নিয়ে সেই পণ্য নিজেই বাজারজাত ও বিক্রি করবেন, এভাবেই আপনার নিজস্ব ব্যবসাটি শুরু করতে চান। এরকম অবস্থাতেই ব্যবসার প্রশাসনিক দিকটাতে খেয়াল রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

অনেকেই আছেন, ব্যবসার সৃজনশীল দিকটি শুধু পছন্দ করেন।

কিন্তু একই সঙ্গে আপনাকে ব্যবসার হিসাব রাখা, কর্মীদের বেতন, পণ্যের কাঁচামাল সংগ্রহ, কর্মীদের পরিচালনার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

গ্রাহক, ক্লায়েন্ট ও সরবরাহকারীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এই কাজগুলি যদি আপনার করতে ইচ্ছা না করে তাহলে এগুলি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সঠিক লোক খুঁজে বের করতে হবে।

Leave a comment